মহানবী (সা.) ছোট্ট এই দোয়াটি পড়ে রোগীকে ফুঁ দিতেন

আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) বিভিন্ন দোয়া পড়ে বহু রোগীকে আল্লাহর রহমতে সুস্থতা ফিরিয়ে দিয়েছেন। মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) যেসকল দোয়া পড়তে সেগুলোর মধ্যে নিচে একটি দোয়া বর্ণনা করা হলো।

আরবি হাদিস: وَعَنْ أَنَسٍ رضي الله عنه أَنَّهُ قَالَ لِثَابِتٍ رَحِمَهُ اللهُ: أَلاَ أَرْقِيكَ بِرُقْيَةِ رَسُولِ اللهِ ﷺ ؟ قَالَ: بَلَى، قَالَ: « اَللهم رَبَّ النَّاسِ، مُذْهِبَ البَأسِ، اِشْفِ أَنْتَ الشَّافِي، لاَ شَافِيَ إِلاَّ أنْتَ، شِفَاءً لاَ يُغَادِرُ سَقَماً ». رواه البخاري

বাংলা হাদিস: আনাস রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি সাবেত (রাহিমাহুল্লাহ) কে বললেন, আমি কি তোমাকে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর মন্ত্র দ্বারা ঝাড়ফুঁক করব না?’ সাবেত বললেন, অবশ্যই।’

আনাস রাদিয়াল্লাহু আনহু এই দোআ পড়লেন, আল্লাহুম্মা রাববান্না-স, মুযহিবাল বা’স, ইশফি আন্তাশ শা-ফী, লা শা-ফিয়া ইল্লা আন্ত্, শিফা-আল লা য়্যুগা-দিরু সাক্বামা।’’ অর্থাৎ হে আল্লাহ! মানুষের প্রতিপালক! তুমি কষ্ট দূর কর এবং আরোগ্য দান কর। (যেহেতু) তুমি রোগ আরোগ্যকারী।

তুমি ছাড়া আরোগ্যকারী আর কেউ নেই। তুমি এমনভাবে রোগ নিরাময় কর, যেন তা রোগকে নির্মূল করে দেয়।[বুখারি ৫৭৪২, তিরমিযি ৯৭৩, আবু দাউদ ৩৮৯০, আহমদ ১২১২৩, ১৩৪১১]

মানসিক অবসাদ দূর করতে হযরত মুহাম্মদ (সা.) যে খাদ্যের কথা বলেছেন

মানসিক অবসাদ দূর করতে হাদীস শরীফে একটি খাবারের কথা বলা হয়েছে। যা শতভাগ কার্যকরী টোনিক হিসেবে হাদিসে বর্ণনা করা হয়েছে।

হাদিস শরীফে এসেছে, হযরত আয়েশা (রা.) বলেন, হযরত মুহাম্মদ (সা.) এর পরিবারের লোকেদের জ্বর হলে, তিনি দুধ ও ময়দা সহযোগে তরল পথ্য তৈরি করার নির্দেশ দিতেন।

রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, এটা দুশ্চিন্তাগ্রস্ত মনে শক্তি যোগায় এবং রোগীর মনের ক্লেশ ও দুঃখ দূর করে, যেমন তোমাদের কোন নারী পানি দ্বারা তার চেহারার ময়লা দূর করে। সহীহুল বুখারী ৫৪১৭, মুসলিম ২২১৬, তিরমিযী ২০৩৯, ১/৩৪৪৫।

অন্য এক হাদীসে এসেছে, আয়েশা (রা.) বলেন, হযরত মুহাম্মদ (সা.) বলেছেন, অপ্রিয় কিন্তু উপকারী বস্ত্তটি তোমরা অবশ্যই গ্রহণ করবে। তা হলো তালবীনা অর্থাৎ হাসা ( দুধ ও ময়দা সহযোগে প্রস্ত্তত তরল পথ্য)। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা.) এর পরিবারের কেউ অসুস্থ হয়ে পড়লে হাসা-এর পাতিল চুলার উপর থাকতো, যাবত না রোগী সুস্থ হতো অথবা মারা যেতো। ২/৩৪৪৬। সহীহুল বুখারী ৫৪১৭, মুসলিম ২২১৬, তিরমিযি ২০৩৯, আহমাদ ২৩৯৯১, ২৪৬৯৩, ২৫৫১৯