লবঙ্গ খেলে যে ৮টি রোগের খেল খতম হবে নিমিশেই

লবঙ্গ এক প্রকারের মসলা। লবঙ্গ গাছের ফুলের কুড়িকে শুকিয়ে লবঙ্গ মসলাটি তৈরি করা হয়। খাদ্যদ্রব্যে মসলা হিসাবে এটি ব্যবহার করা হয়।

লবঙ্গের আদি বাস ইন্দোনেশিয়ায়, তবে বর্তমানে এটি পৃথিবীর সর্বত্র ব্যবহৃত হয়। জাঞ্জিবার, ইন্দোনেশিয়া ও মাদাগাস্কারে লবঙ্গ চাষ করা হয়।

এছাড়া দক্ষিণ এশিয়ার বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তান ও শ্রীলংকাতেও লবঙ্গের চাষ হয়ে থাকে। ১৪ শতকের মাঝামাঝি সময়। তুমুল লড়াই চলছে দেশে দেশে।

যুদ্ধের কারণটা যদিও বড়ই আজব! লবঙ্গের চাষ ইন্দোনেশিয়ার যে দ্বীপে হয়, সেখানকার অধিকার কোন দেশের হাতে থাকবে, সেই নিয়েই বেঁধেছে তুমুল লড়াই।

কয়েক বছর রক্ত ঝরার পর অবশেষে বিজয় পাতকা হাতে সেই দ্বীপে পৌঁছালেন ডাচরা (নেদারল্যান্ড)। আর সেই থেকে লবঙ্গের উপর অধিকার স্থাপিত হল ইউরোপের এই দেশটির।

পরবর্তি সময়ে পরিস্থিতির পরিবর্তন হয়েছিল ঠিকই। কিন্তু আজও লবঙ্গের গুরুত্ব কমেনি একটুও। আর কেন কমবেই বা বলুন! একটা লবঙ্গ মুখে পরতেই যে বেশ কয়েকটি রোগের নিকেশ ঘটে যায়। এমন মহৌষধিকে কাছে রাখতে চাইবে না, এমন মুর্খ কেউ আছে নাকি!

১০০ গ্রাম লবঙ্গে প্রায় ৬৫ গ্রাম কার্বোহাইড্রেট, ৬ গ্রাম প্রোটিন, ১৩ গ্রাম লিপিড এবং ২ গ্রাম চিনি রয়েছে। সেই সঙ্গে রয়েছে ফাইবার, ক্যালসিয়াম, আয়রন, ম্যাগনেসিয়াম, ফসফরাস, পটাশিয়াম, সোডিয়াম, জিঙ্ক, ভিটামিন সি, থিয়েমিন, ভিটামিন বি৬,বি১২,এ,ই,ডি এবং কে।

এই সবকটি উপাদানই নানাভাবে শরীরের গঠনে কাজে লেগে থাকে। যেমন… ডায়াবেটিস রোগকে নিয়ন্ত্রণে রাখে – বেশ কিছু গবেষণায় দেখা গেছে লবঙ্গের অন্দরে থাকা একাধিক উপকারি উপাদান

শরীরের অন্দরে প্রবেশ করার পর ইনসুলিনের কর্মক্ষমতা বাড়াতে শুরু করে। ফলে স্বাভাবিকভাবেই রক্তে শর্করার মাত্রা বৃদ্ধি পাওয়ার আশঙ্কা একেবারে কমে যায়।আর্থ্রাইটিসের যন্ত্রণা কমায়–

লবঙ্গে উপস্থিত অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি প্রপাটিজ এই ধরনের হাড়ের রোগের প্রকোপ কমাতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। এক্ষেত্রে এক কাপ লবঙ্গ চা বানিয়ে কয়েক ঘন্টা ফ্রিজে রেখে দিতে হবে।

তারপর সেই ঠাণ্ডা চা ব্যথা জায়গায় কম করে ২০ মিনিট লাগালে দেখবেন যন্ত্রণা একেবারে কমে গেছে। প্রসঙ্গত, জয়েন্ট পেইন কমানোর পাশাপাশি পেশির ব্যথা এবং ফোলা ভাব কমাতেও এই ঘরোয়া ঔষধিটি বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে।