পানিতে ভাসমান যে মসজিদে নামাজ পড়েন মুসল্লিরা !

পানিতে ভাসমান যে মসজিদে নামাজ- গ্র্যান্ড মস্ক হাসান–২ বা দ্বিতীয় হাসান মসজিদ এক কথায় বিস্ময়কর।

দৃষ্টিনন্দন পানিতে ভাসমান এ মসজিদটির অবস্থান মরক্কোয়। দূরের কোনো জাহাজ থেকে দেখলে মনে হয়, ঢেউয়ের বুকে যেন মসজিদটি দুলছে আর মুসল্লিরা যেন নামাজ পড়ছেন পানির ওপর।

মরক্কোর পঞ্চম রাজা মোহাম্মদের স্মরণে রাজা হাসান-২ এ মসজিদ নির্মাণ করেন। মরক্কোর অন্যতম উচ্চাবিলাসী প্রকল্প ছিল এ মসজিদ নির্মাণ কার্যক্রম।

১০ হাজার শিল্পী ও কারিগর অংশ নেন এ মসজিদের নান্দনিক সৌন্দর্য সৃষ্টির কাজে। এর মধ্যে মরক্কোর বাছাই করা ছয় হাজার কারিগর পাঁচ বছর ধরে অনবরত কাজ করেছেন, মেঝে, দেয়াল, খুঁটি এবং সিলিংয়ে মোজাইক, টাইলস ও মার্বেলসহ মূল্যবান পদার্থ বসানো ও অলঙ্করণের জন্য।

এর নির্মাণ খরচ পাঁচ হাজার ৫০০ কোটি টাকা।

এ মসজিদে প্রবেশের পর পর্যটকদের কিছুক্ষণের জন্য হলেও স্তব্ধ হয়ে থাকতে হয় এর বিস্ময়কর আয়োজন দেখে।

এর স্থাপত্যশৈলী, নান্দনিকতা, অলঙ্করণ, মূল্যবান দ্রব্যাদি আর রঙের ব্যবহার, সমন্বয়ের কাছে পৃথিবীর বড় বড় তারকা হোটেল আর রাজ প্রাসাদের সৌন্দর্যও ম্লান।

ইসলামে সুগন্ধি ব্যবহারের বিধান ও গুরুত্ব

ইসলামের সুগদ্ধি ব্যবহারে অনুমতি রয়েছে। মুহাম্মদ (স.) ও সুগন্ধি পছন্দ করতেন। তাকে কেউ সুগন্ধি উপহার দিলে তিনি তা ফিরিয়ে দিতেন না।

আর তিনি সুগন্ধি উপহার হিসেবে কেউ দিলে তা ফিরিয়ে দিতেও বারণ করেছেন।

হজরত আনাস (রা.)-এর বর্ণনায় রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, তোমার পৃথিবীর সুগন্ধি আমার কাছে প্রিয় করা হয়েছে এবং নামাজের ভেতর আমার চোখের শীতলতা রাখা হয়েছে। (নাসাঈ, হাদিস নং : ৩৯৩৯)

অন্য হাদিসে এসেছে, রাসুলুল্লাহ (সা.) কে কেউ সুগন্ধি উপহার দিলে তিনি গ্রহণ করতেন। ফিরিয়ে দিতেন না। কেউ সুগন্ধি দিলে ফিরিয়ে দিতেও তিনি নিষেধ করেছেন। (বুখারি, হাদিস নং : ৫৫৮৫)

তবে ইসলামে অ্যালকোহল আঙুর, খেজুর অথবা কিশমিশ থেকে তৈরি বডি স্প্রে ব্যবহারের জন্য বারণ করা হয়েছে। মহানবী (সা.) ইরশাদ করেছেন, ‘নেশা সৃষ্টিকারী প্রতিটি বস্তুই হারাম।’ (বুখারি, হাদিস নং: ৪৩৪৩)

যেসব সেন্ট বা বড়ি স্প্রেগুলো শরীরের অভ্যন্তরে কোন প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করে না সেগুলো ব্যবহারে আপত্তি নেই। (জাদিদ ফিকহি মাসাইল : ১/৩৮)।