
ভালো মানুষ হওয়ার ক্ষেত্রে ইসলাম- ইসলাম এবং নিয়মিত নামাজ পড়া পল পগবাকে বদলে দিয়েছে।
ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের এই মিডফিল্ডার জানিয়েছেন, তাঁকে আরো ভালো মানুষ হওয়ার ক্ষেত্রে সাহায্য করেছে ইসলাম।



ব্রিটিশ গণমাধ্যম দ্য ইনডিপেনডেন্ট জানিয়েছে, পগবা মনে করেন বিশ্বে ইসলামকে ভুল ভাবে দেখা হয়। বিশ্বকাপ জয়ী ফ্রান্সের অন্যতম ফুটবলার পগবা সম্প্রতি নিজের ধর্মীয় চর্চা নিয়ে কথা বলেন গণমাধ্যমে।
পগবা বলেন, ‘সবাই যেভাবে দেখছে ইসলাম সে রকম না। আমরা গণমাধ্যমে যা শুনি তা ভিন্ন কিছু। ইসলাম খুবই সুন্দর।’
একটা কঠিন সময় গেছে পগবার। তখন থেকেই তিনি ধর্ম-চর্চায় মন দেন। কিছুদিন আগে হজও করে এসেছেন তিনি।



পগবা বলেন, ‘ইসলাম জীবন সম্পর্কে আমার ধারণা বদলে দিয়েছে। আমার ভেতরে শান্তি এনে দিয়েছে। এটা আমার জীবনে ভালো একটা পরিবর্তন এনে দিয়েছে।’
ফরাসি এই ফুটবলার বলেন, ‘আমার অনেক বন্ধু-বান্ধব আছে যারা মুসলমান।
আমরা সব সময় কথা বলি। আমি নিজেকেও প্রশ্ন করি। আমি আমার বন্ধু-বান্ধবের সঙ্গে একবার নামাজ পড়ি। তারপর বুঝতে পারি অন্য রকম লাগছে।



আমার খুব ভালো লাগছিল। তারপর থেকে আমি শুরু করি। নামাজ ইসলামের মূল স্তম্ভ।
আপনি ক্ষমা চাইছেন, সবার জন্য দোয়া করছেন। ’
পগবা আরো বলেন, ‘ইসলাম আমার চোখ খুলে দিয়েছে। আমাকে ভালো মানুষে পরিণত করেছে। ইসলাম মানবতা কে শ্রদ্ধা করে।’
সূত্র- এন টি ভি অনলাইন।
লোক দেখানো দানকারীর জন্য পবিত্র কোরআনের হুঁশিয়ারি
আমাদের চারপাশে প্রতিনিয়ত চলছে বড় হবার প্রতিযোগিতা। বড় হওয়ার লক্ষ্য কিন্তু খারাপ নয়। তবে লক্ষ্য রাখা উচিত যে, নিজেকে বড় করতে গিয়ে যেন কাউকে ছোট না করা হয়।



সম্প্রতি দেখা যাচ্ছে কে কাকে সহায়তা করছে। কাউকে সহায়তা করা অবশ্যই ভালো কাজ।
কিন্তু ছবি তুলে কিংবা ভিডিও করে বিভিন্ন পত্রিকা, টেলিভিশনে প্রচার করাটা মোটেও ঠিক বলে মনে হয় না। প্রচার করার কারণে যে ব্যাক্তি সহায়তা করছে সে সমাজের উচ্চ স্থানে যাচ্ছে, কিন্তু সেই অসহায় মানুষগুলো নানা ধরনের সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে।
সমাজের চোখে এই হতদরিদ্র সাধারণ মানুষগুলোকে নিচু জাতের মনে করে অবহেলা করা হয়। কেননা আশেপাশের লোকের কাছে তারা পরিচিতি লাভ করে নিকৃষ্ট লোক হিসেবেই।
একটু সহায়তা নিয়ে তারা গোটা জাতির কাছে ছোট হচ্ছে। রাস্তা দিয়ে চলতে গেলে লোকেরা তাদের নিয়ে কানাঘুঁষা করে। লোকজন বলাবলি করে, ওই লোকটাকে টিভিতে দেখলাম না সেদিন হাত পেতে চাল, ডাল, জামা, ইত্যাদি সহায়তা নিতে।



এই কথাগুলো যখন সেই অসহায় মানুষটি শুনতে পায় তখন তার কষ্ট হয়। তারা মনে মনে ভাবতে থাকে, আল্লাহ তাদের কেনো দরিদ্র বানালেন।
যারা অসহায় মানুষকে সহায়তার নামে নিজের প্রচার করে বেড়াচ্ছে, তারা যদি একবার সেই অসহায় মানুষদের কাতারে দাঁড়িয়ে কারো কাছ থেকে হাত পেতে কিছু নিতো তাহলে, হয়তো সহায়তা করে ঢাক-ডোল পিটিয়ে প্রচার করতে পারতো না।
যে ব্যাক্তি সহায়তা করে তা প্রচার করে বেড়াচ্ছে সে কিন্তু সমাজের চোখে একজন ভালো মানুষ হিসেবে আত্মপ্রকাশ করতে সক্ষম হচ্ছে। কিন্তু যাদেরকে সে সহায়তা করেছে তাদের সমাজের চোখে ছোট করে তুলছে।



একটু ভালো কাজ করে তা প্রচার সুনাম অর্জন করতে চাওয়াটাকে লোক দেখানো ভালো কাজ হিসেবেই ভেবে নিবো। কেউ যদি ভালো কাজ করে তাহলে তার ফল সে পাবেই। লোক দেখানো ভালো কাজ না করে সত্যিকারের কিছু করাটাই যুক্তিযুক্ত বলে মনে করি।
পবিত্র কোরআনে লোক দেখানো ভালো কাজ যারা করে, তাদের জন্য জাহান্নামের হুমকি দেয়া হয়েছে। আল্লাহতায়ালা বলেন, ‘ওইসব ধার্মিকদের জন্য জাহান্নাম অনিবার্য, যারা তাদের ধর্ম সম্পর্কে উদাসীন।
আর তারা যখন কোনো ভালো কাজ করে, তা লোক দেখানোর জন্য করে। এমনকি তারা স্বার্থ ছাড়া ছোট-খাটো জিনিসও মানুষকে দেয় না।’ সূরা মাউন, আয়াত ৪-৭।
কাউকে সহায়তা করলে তা প্রচার না করাই ভালো। হাদিসে বলা হয়েছে, এমনভাবে দান করো, যেনো ডান হাতের দান বাম হাত না জানে।
যে স্বার্থ ছাড়া ভালো কাজ করে যাবে কোনো একদিন তার করা ভালো কাজগুলো আপনা-আপনি লোকমুখে প্রচার হবেই।
আল্লাহ আমাদের বোঝার তাওফিক দিন। আমিন।