
প্রেমিককে বেঁধে প্রেমিকাকে- দিনাজপুরের নবাবগঞ্জে প্রেমিককে আটকে রেখে প্রেমিকাকে (১৯) ধ’র্ষ’ণে’র ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় তরুণীর প্রেমিক বাদী হয়ে ৫ বখাটের বিরুদ্ধে মামলা করেছে। ৪ জনকে গ্রে’ফ’তা’র’ও করেছে পুলিশ।



গ্রে’ফ’তাররা হলেন- নবাবগঞ্জ উপজেলার গোলাপগঞ্জ ইউনিয়নের শগুনখোলা গ্রামের শরিয়ত হোসেনের ছেলে শাহিনুর ইসলাম (৩০), মৃত ইসমাইল হোসেনের ছেলে আব্দুল আজিজ ওরফে আজিম (৩১),
ফতেহপুর মাড়াস গ্রামের আব্দুল মতিনের ছেলে সাজেদুর ইসলাম (২০) ও আবু তাহেরের ছেলে শাহারুল ইসলাম (২১)। পলাতক রয়েছে শগুনখোলা গ্রামের খলিলের ছেলে রেজওয়ান (২০)। মঙ্গলবার বেলা ১১টায় তাদের দিনাজপুর আদালতে পাঠানো হয়েছে।



নবাবগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) অশোক কুমার চৌহান জানান, সোমবার বিকেলে ওই তরুণী রিয়াজুলের সঙ্গে নবাবগঞ্জের আশুড়ার বিলে দেখা করতে আসে।
এ সময় শাহিনুরের নেতৃত্বে ৫ বখাটে রিয়াজুল এবং তার প্রেমিকাকে আটক করে মা’র’ধ’র করে ও সঙ্গে থাকা টাকা কেড়ে নেয়। তাদের কাছে মাত্র ৫২০ টাকা পায় বখাটেরা। এ সময় বখাটেরা রিয়াজুলকে বিকাশের মাধ্যমে আরও টাকা দিতে বলে।



রিয়াজুল বিকাশ করার কথা বলে নবাবগঞ্জের এক ছাত্রলীগ নেতাকে ঘটনাটি খুলে বলে। ছাত্রলীগ নেতাকে ফোন করায় শাহিনুর চরম ক্ষি’প্ত হয়। এ সময় আজিম, সাজেদুর, শাহারুল এবং রেজওয়ান বিলে পাশের শালবনে তুলে নিয়ে রিয়াজুলকে আটকে রাখে।
আর শাহিনুর ওই তরুণীকে বনের মধ্যে নিয়ে গিয়ে ধ’র্ষ’ণ করে। ধ’র্ষ’ণ শেষে শাহিনুর ওই তরুণীকে নবাবগঞ্জ বিরামপুর সড়কে রেখে আসে।



এ সময় সুযোগ বুঝে রিয়াজুল দৌড়ে এসে আশুড়া বিল পরিচালনা কমিটিকে ঘটনাটি খুলে বলে। আশুড়া বিল পরিচালনা কমিটির লোকজন পুলিশকে বিষয়টি অবহিত করে।
নবাবগঞ্জ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) শামছুল ইসলাম জানান, পুলিশ খবর পেয়ে দ্রুত অভিযান চালিয়ে শাহিনুর, আজিম, সাজেদুর এবং শাহারুলকে গ্’রে’ফ’তা’র করে। রেজওয়ান পালিয়ে যায়।



ওসি অশোক কুমার চৌহান জানান, গ্রে’ফ’তার বখাটেরা পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছে। প’লাতক রেজওয়ানকে গ্রে’ফতারে অভিযান চলছে। মঙ্গলবার ওই তরুণীকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য দিনাজপুরে এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসাপাতালে পাঠানো হবে।
শ্বশুরবাড়ি পৌঁছে দেয়ার কথা বলে গার্মেন্টস কর্মীকে গ’ণ’ধ’র্ষ’ণ
নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারে এক গার্মেন্টস কর্মীকে গ’ণ’ধ’র্ষ’ণে’র অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় মঙ্গলবার (১১ আগস্ট) সকালে চার যুবকের বিরুদ্ধে থানায় মামলা করেছেন ওই গার্মেন্টস কর্মী। তবে তদন্তের স্বার্থে পুলিশ অভিযুক্তদের নাম প্রকাশ করেনি।



গার্মেন্টস কর্মী জানান, তিনি সোনারগাঁ উপজেলার কাঁচপুর এলাকায় স্কয়ার নিট কম্পোজিট নামে পোশাক প্রস্তুতকারী একটি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেন। সোনাপুরে একটি ভাড়াবাসায় স্বামীকে নিয়ে বসবাস করেন।
গত শনিবার (৮ আগস্ট) রাত সাড়ে ৮টার দিকে শ্বশুরবাড়ি আড়াইহাজার উপজেলার খাগকান্দা ইউনিয়নের তেতৈই তলার উদ্দেশে রওনা হন। রাত সাড়ে ১০টার দিকে স্থানীয় কাকরাইল মোড়া এলাকায় খেয়াঘাট পার হয়ে বাসস্ট্যান্ডে রিকশার জন্য অপেক্ষা করছিলেন। এ সময় হঠাৎ চার যুবক তাকে তার শ্বশুরবাড়ি পৌঁছে দেয়ার কথা বলেন। পরে তিনি তাদের সঙ্গে রওনা হন।



তিনি বলেন, চার যুবকের মধ্যে দুজন হঠাৎ আমার চোখে ও মুখে কাপড় পেঁ’চি’য়ে গলায় ছু’রি ধ’রে জিম্মি করে। অন্য দুই যুবক আমাকে উঠিয়ে নিয়ে যায়। তারা আমাকে একটি নির্জন স্থানে নিয়ে দুই ঘণ্টা পালাক্রমে ধ’র্ষ’ণ করে পালিয়ে যায়।
ওই গার্মেন্টস কর্মীর স্বামী জানান, শনিবার রাতে ঘটনাটি ঘটলেও প্রথমে তার স্ত্রী লোকলজ্জার ভ’য়ে চেপে যান। পরদিন সকালে তার স্ত্রী কর্মস্থলে চলে যান। পরে এ নিয়ে এলাকায় গুঞ্জন শুরু হয়। পরে তিনি স্ত্রীর কাছ থেকে ঘটনাটি জানতে পারেন এবং মামলার সিদ্ধান্ত নেন।
আড়াইহাজার থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নজরুল ইসলাম বলেন, এ ঘটনায় ওই গার্মেন্টস কর্মী বাদী হয়ে চার যুবককে আসামি করে একটি মামলা করেন। আসামিদের গ্রেফতারে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।