বাংলাদেশের যুদ্ধ জাহাজ মেরামত করে দেয়ায় তুরস্ককে ধন্যবাদ : প্রধানমন্ত্রী

তুরস্ককে শেখ হাসিনার ধন্যবাদ- বাংলাদেশ নৌবাহিনীর ক্ষতিগ্রস্ত জাহাজ মেরামত করে দিতে এগিয়ে এসেছে তুরস্ক। বাংলাদেশ নৌবাহিনীর যু’দ্ধ জাহাজ মেরামত করে দেয়া তুরস্ককে ধন্যবাদ জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

তিনি বলেন, সম্প্রতি লে’বা’ন’নে’র বৈ’রু’ত বন্দরে বি’স্ফো’র’ণে ক্ষতিগ্রস্থ আমাদের নৌ বাহিনীর জাহাজ মেরামতের জন্য তুরস্ককে ধন্যবাদ জানাই।

সোমবার বিকালে গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সে তুরস্কের আঙ্কারায় নবনির্মিত বাংলাদেশ চ্যান্সেরি কমপ্লেক্সের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার ভাষণে বলেন, অভিন্ন বিশ্বাস, ইতিহাস ও ঐতিহ্যের ওপর ভিত্তি করে তুরস্ক ও বাংলাদেশের সম্পর্ক অনেক গভীরে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, আমি জেনে আনন্দিত যে, তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী শিগগিরই বাংলাদেশ সফর করবেন। আমি তাকে স্বাগত জানাই। আপনি কখন আসবেন আমরা সেই অপেক্ষায় থাকব।” পাশাপাশি তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তায়িপ এরদোয়ানকে বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ জানান শেখ হাসিনা।

লে’বা’ন’নে’র রাজধানী বৈ’রু’তে ভ’য়া’ব’হ বি’স্ফো’র’ণে বাংলাদেশ নৌবাহিনীর ক্ষতিগ্রস্ত যু’দ্ধজাহাজ মেরামত করে দিতে এগিয়ে এসেছে তুরস্ক। তুরস্কের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের অফিসিয়াল টুইটার পেজে বার্তায় বলা হয়, বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর জাহাজ বানৌজা বিজয় মেরামত করে দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।

আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আএসপিআর) পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে যে, বৈরুতে ভ’য়া’ব’হ বি’স্ফো’র’ণে’র সময় বন্দরের কাছে থাকা বাংলাদেশের নৌবাহিনী জাহাজ বানৌজা বিজয় জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা মিশনের অংশ হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিল।

ওই ঘটনায় বাংলাদেশ নৌবাহিনীর ২১ সদস্যসহ ১০৮ প্রবাসী আ’হ’ত হন। নি’হ’ত হয়েছেন ৫ বাংলাদেশি।

প্রসঙ্গত, গত ৪ আগস্ট লেবাননের রাজধানী বৈরুতে এমোনিয়াম নাইট্রেটের ভ’য়া’ব’হ বি’স্ফো’র’ণে ১৭৮ জনেরও বেশি মানুষ নি’হ’ত হন। আহত হয়েছেন ৬ হাজারেরও বেশি মানুষ।

এদিকে বাংলাদেশের অর্থনীতির ভূয়সী প্রশংসা করে পাকিস্তানি একটি জাতীয় ইংরেজি দৈনিকে নিবন্ধ প্রকাশ করা হয়েছে। দ্য নিউজ ইন্টারন্যাশনাল সংবাদ মাধ্যমে শনিবার প্রকাশিত ওই নিবন্ধে পাকিস্তানের অর্থনীতির সঙ্গে বাংলাদেশের অর্থনীতির তুলনা করা হয়।

নিবন্ধে পাকিস্তানের বর্তমান অর্থনীতি ও সামাজিক অবস্থান এবং তলাবিহীন ঝুড়ি হিসেবে চিহ্নিত হওয়া সত্ত্বেও বাংলাদেশে দারিদ্র্য হ্রাস পাওয়ার বিষয়টি তুলে ধরা হয়েছে।

এতে বলা হয়, দুই দশক আগেও দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে সর্বনিম্ন মাথাপিছু আয় এবং মোট দেশজ উৎপাদনে (জিডিপি) স্বল্প প্রবৃদ্ধির কারণে বাংলাদেশকে তলাবিহীন ঝুড়ি বলা হত।

বর্তমানে পাকিস্তানের চেয়েও বাংলাদেশের মাথাপিছু আয় বেশি। ভারতের পর বিশ্বের দ্রুত বর্ধনশীল অর্থনীতির দেশ হল বাংলাদেশ।

নিবন্ধে বলা হয়, দুই বছর ধরে সংঘাতকবলিত আফগানিস্তানের চেয়েও পাকিস্তানের মাথাপিছু আয় কমছে। দেশটির বেশিরভাগ সরকারি বিদ্যালয়ে নিম্নমানের শিক্ষা দেয়া হয়। যেগুলো কেবল দরিদ্রদের শিক্ষা প্রদান করে।এর মাধ্যমে বৈষম্যমূলক দুটি পৃথক সমাজ তৈরি করা হচ্ছে।