
২০১৫ সালে পবিত্র ধর্মগ্রন্থ আল-কুরআনের সবচেয়ে পুরনো পাণ্ডুলিপি পাওয়া যায় যুক্তরাজ্যের বার্মিংহাম বিশ্ববিদ্যালয়ে। এতে বিশ্বজুড়ে হইচই পড়ে যায়।



এর পরের বছর স্বর্ণের অক্ষরে কুরআন লিখে ইতিহাস গড়েন আজারবাইজানের এক নারী শিল্পী। তার নাম তুনজালে মেমেদজাদে।
১৬৪ ফুটের স্বচ্ছ কালো সিল্কের ওপর স্বর্ণ এবং রুপা দিয়ে কোরআন লিখেছেন তিনি। এতে সময় লেগেছে প্রায় ৩ বছর। সিল্কের ওপর স্বর্ণের হরফে কুরআন এই প্রথম লেখা হল বলে জানান ৩৩ বছর বয়সী এই শিল্পী।



স্বর্ণের হরফে লেখা এই কুরআনের দৈর্ঘ্য ১১.৪ ফুট। আর প্রস্থ ১৩ ফুট।
প্রত্যেকটি হরফ নিজের হাতে লিখেছেন মেমেদজাদে। প্রতিটি পাতায় ফুটে উঠেছে ইসলামের শিল্পকলা। তুরস্কের প্রেসিডেন্সি অব রিলিজিয়াস অ্যাফেয়ার্স দিয়ানেট থেকে স্বর্ণের হরফে লেখা এই কুরআনের প্রথম সংস্করণ প্রকাশিত হয়। সূত্র: মাইমডার্নমেট।



মসজিদে নামাজ পড়তে দিলে করোনা দূর হবে- ভারতীয় সাংসদের দাবি
ভারতের উত্তরপ্রদেশের সমাজপার্টির সংসদ সদস্য সফিকুর রহমান বার্ক দাবি করেছেন, ‘ঈদুল আজহায় সমস্ত মুসলিমদের যদি মসজিদে নামাজ পড়ার অনমুতি দেওয়া হয় তবেই করোনাভাইরাস দূর হবে।’
উত্তরপ্রদেশের সম্বল লোকসভা কেন্দ্রের পাঁচ বারের এ সাংসদ ঈদের সময় সমস্ত দোকান-পাট খোলা রাখারও আহ্বান জানিয়েছেন।



৯০ বছর বয়সী সফিকুর রহমান গত সোমবার সম্বলের জেলা কালেক্টর অভিনাশ কৃশাণ’কে একটি স্মারকলিপি জমা দেন। সফিকুর রহমান বলেন, প্রশাসনের উচিত সমস্ত মুসলিমদের একসাথে মসজিদে নমাজ পড়ার অনুমতি দেওয়া।
একমাত্র তবেই করোনা মহামারী থেকে মুক্তি মিলবে এবং গোটা বিশ্বকে বাঁচানো যাবে। ঈদে বিশেষ নামাজ আদায়ের ব্যবস্থা করা হয়। যখন সমস্ত মুসলিমরা একসাথে দোয়া করবে এবং আল্লাহার কাছে ক্ষমা চাইবে, বিশেষ করে ঈদের দিনে।



মুসলিমদের সেই দোয়া ব্যর্থ হবে না। তাই আমি প্রশাসনের কাছে আবেদন করবো তারা যেন মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষকে মসজিদে একসাথে নামাজ পড়ার অনুমতি দেন এবং এই বিশ্বকে করোনা মুক্ত করতে মুসলিমরা যেন একসাথে দোয়া করেন।
সেক্ষেত্রে করোনা সম্পর্কিত সমস্ত স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা সুনিশ্চিত করতে আমাদের পক্ষ থেকে সব ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া হবে। সম্বলের জেলা কালেক্টর অ’ভিনাশ কৃশাণ জানিয়েছেন, রাজ্য সরকারের নির্দেশিকা অনুযায়ী মসজিদসহ সমস্ত ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানগুলিতে পাঁচ জনের বেশি মানুষের জমায়েত নি’ষিদ্ধ।
ঈদকে কেন্দ্র করে রাজ্য সরকারের তরফে নতুন কোন বিজ্ঞপ্তি জা’রি করা হয়নি। ঈদকে কেন্দ্র করে যদি কোন ছাড় দেওয়া হয়, তবে সেই অনুযায়ী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।