
সাধারণত কোরআন পুস্তাকারের হয়ে থাকে। তবে বাহ্যিক আকারে বৈচিত্রপূর্ণ কোরআন রয়েছে দুনিয়ায়। কোরআন শরিফের ওজন ৫০০ কেজি! শুনে আশ্চার্য না হয়ে পারবেন না কেউ।
বাহ্যিক আকারে বিশাল এমনই কোরআনের সন্ধান মিলেছে মদিনা শরিফের আল-কোরআন মিউজিয়ামে।



মিউজিয়ামটি মসজিদে নববির আঙিনায় ৫ নম্বর গেটের কাছে অবস্থিত। প্রাচীন কোরআনের কপি ও পাণ্ডুলিপি সংরক্ষণের জন্য ওই মিউজিয়ামে সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা রয়েছে।
বিভিন্ন দেশ থেকে আগত দর্শনার্থীদের জন্য রয়েছে বিভিন্ন ভাষার অনুবাদক। তারা সংরক্ষিত প্রতিটি কোরআন ও পাণ্ডুলিপির সংক্ষিপ্ত ইতিহাস তুলে ধরেন। এছাড়াও ভিডিও চিত্রের মাধ্যমে প্রাচীন ইসলামি এতিহ্য ও সংস্কৃতি ফুটিয়ে তোলেন। মিউজিয়ামে হরিণের চামড়ায় লিখিত একটি কোরআনের কপি রয়েছে। আরো আছে কাপড়ে স্বর্ণের সুতো দিয়ে তৈরি কোরআন।



তার চেয়ে বড় কথা হলো, স্বর্ণের কালিতে হস্তাক্ষরে লিখিত ১৫৪ কেজি ওজনের বৃহৎ আকারের একটি কোরআন রয়েছে। কোরআনটি লম্বায় দেড় মিটার ও প্রস্থে এক মিটার। প্রতিটি আয়াতের নিচে ফার্সি ভাষায় অর্থ লেখা আছে।
১৮১৭ খ্রিস্টাব্দে আফগানিস্তানের কাবুলে এটি তৈরি করা হয়। লিপিকারের নাম জনাব গোলাম মুহিউদ্দিন। তৎকালীন সময়ে আফগানিস্তান থেকে কোরআন শরিফটি মদিনায় নিয়ে আসতে চারটি উট লেগেছিল। অত্যধিক ওজনের কারণে কোরআনের পাতাগুলোকে চার ভাগ করে পৃথক পৃথক উটের পিঠে রাখা হয়। এরপর প্রায় মাসব্যাপী সফরের পর মদিনায় পৌঁছানো হয়।



উল্লেখ্য যে, যে কোনো ধরনের সর্বাধিক ওজনের কোরআনও তৈরি করা হয়েছে আফগানিস্তানে। ২০০৯ সালে রাজধানী কাবুলে একটি মনোজ্ঞ অনুষ্ঠানের মাধ্যমে এটির মোড়ক উন্মোচন করা হয়। কোরআনটির ওজন ৫০০ কেজি। কোরআনের পাতাগুলো লম্বায় ২.২৮ মিটার ও প্রস্থে ১.৫৫ মিটার। মোট পৃষ্ঠা সংখ্যা ২১৮। কাগজ ও কাপড়ের সংমিশ্রণে পৃষ্ঠাগুলো তৈরি করা হয়েছে।
মলাট বানানো হয়েছে বকরির চামড়ায় বিশেষ কারুকার্য ও শিল্পকর্মের মাধ্যমে। যাতে খরচ পড়েছে অর্ধ মিলিয়ন ডলার। কোরআনটি লিপিবদ্ধ করেছেন আফগানিস্তানের বিখ্যাত লিপিকার মুহাম্মদ সাবের ইয়াকুতি ও তার শিষ্যরা। লিপিবদ্ধের কাজ শুরু হয়েছিল, ২০০৪ সালের আগস্টে। সমাপ্ত হয় ২০০৯ সালের সেপ্টেম্বরে।



চার্চে পাঞ্জাবী-টুপি ও হিজাব পরে খ্রিস্টান তরুণ-তরুণীদের প্রার্থনা !
ভারতীয় মুলিমদের প্রতি সংহতি প্রকাশ করতে পাঞ্জাবী-টুপি ও হিজাব পরে চার্চে প্রার্থনা করেন খ্রিস্টান তরুণ-তরুণীরা। সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের প্রতিবাদে বি’ক্ষো’ভ হচ্ছে সারা ভারতে। হিন্দু-মুসলিম-খ্রিস্টান নির্বিশেষে প্রতিবাদ-বি’ক্ষো’ভে শামিল হচ্ছে ভারতের আপামর জনসাধারণ।
সেই প্রতিবাদের আঙ্গিকে নতুন এক ধরণ দেখাল ভারতের দক্ষিণাঞ্চলীয় রাজ্য কেরালার কোঝেনচেরি শহরের এক দল খ্রিস্টান যুবক-যুবতী।



বিতর্কিত সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনে দেশটির মুসলিমদের উপেক্ষা করার প্রতিবাদে ও ভারতীয় মুলিমদের প্রতি সংহতি প্রকাশ করতেই পাঞ্জাবী-টুপি ও হিজাব পরে চার্চে প্রার্থনা করেন খ্রিস্টান তরুণ-তরুণীরা। সেই ঘটনার ভিডিও পোস্ট করা হয়েছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। আর তা দেখে মোহিত নেটিজেনরা কুর্নিশ জানাচ্ছেন ওই যুবক-যুবতীদের।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হওয়া সেই ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, ওই যুবক-যুবতীদের পরনে চিরাচরিত মুসলিম পোশাক। যুবকরা পরে রয়েছেন পাঞ্জাবি। তাঁদের মাথায় টুপি।



অন্যদিকে, যুবতীরা পরেছেন হিজাব। তা পরেই গির্জায় গিয়ে তাঁরা অংশ নিয়েছিলেন বড়দিনের প্রার্থনায়। ক্রিসমাস ক্যারলও গাইছিল ওই দলটি।
বিতর্কিত নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল পাশ হওয়ার পর থেকেই ভারতীয় মুসলিমদের প্রতি সৌভ্রাতৃত্ব দেখাতে ও সিএএ-এনআরসির প্র’তি’বা’দ করতেই এ রকম করা হয়েছে বলে জানিয়েছে ভারতীয় গণমাধ্যম। কেরালার কোঝেচেরি শহরের মার্থোমা চার্চে এটি হয়েছে।
এদিকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম টুইটারে ভাইরাল হওয়া এই ভিডিও শেয়ার করে ভারতের কংগ্রেস দলীয় সংসদ সদস্য শশী থারুর লিখেছেন,‘পোশাক দেখে বলতে পারবেন ওরা কারা!’