জেল থেকে বাবা-মাকে ফোনে কান্নাকাটি করে যা বলল মিন্নি

ফোনে কান্নাকাটি করে যা বলল- বরগুনার আলোচিত রিফাত শরীফ হ”ত্যা মামলায় মৃ”ত্যু”দ”ণ্ড”প্রা”প্ত আসামি আয়েশা সিদ্দিকা মিন্নি এখন আছেন বরগুনা জেলা কারাগারের কনডেম সেলে।

সেখান থেকেই বৃহস্পতিবার সকালে বাবা-মায়ের সঙ্গে ফোনে কথা বলেন মিন্নি। এসময় তিনি কান্নাকাটি করেন।

আয়েশা সিদ্দিকা মিন্নির বাবা মোজাম্মেল হোসেন এমনটাই জানিয়েছেন।

মোজাম্মেল হোসেন বলেন, আমার ও আমার স্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেছে মিন্নি। সে সময় অনেক কান্নাকাটি করেছে আমার মেয়েটা। সে জানালো তাকে একা একটি নির্জনকক্ষে রাখা হয়েছে। সেখানে কান্নাকাটি করেই তার সময় কাটছে। ঠিকমতো ঘুমাচ্ছেও না।

মিন্নির বাবার দাবি, আমার মেয়ে নি’র্দো’ষ। মিন্নিকে এ মামলায় ফাঁ’সা’নো হয়েছে। আমি রায়ের কপির জন্য আবেদন করেছি। হাতে পেলেই উচ্চ আদালতে এই  রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করবো। আমি জানি আমার মেয়ে নির্দোষ। উচ্চ আদালতে সেটা প্রমাণিত হবে।

এদিকে বরগুনা জেলা কারাগারের জেল সুপার আনোয়ার হোসেন জানান, মিন্নি কখনো সেল থেকে বাইরে বের হতে পারবেন না। মাসে একবার তার স্বজনদের সঙ্গে দেখা করতে পারবেন। এছাড়া সপ্তাহে একবার তারা ফোনে তাদের স্বজনদের সঙ্গে একটি নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত কথা বলতে পারবেন।

তিনি আরো জানান, কারাবিধি অনুযায়ী ছয় বন্দিকেই কনডেম সেলে থালা, বাটি ও কম্বল দেয়া হয়েছে। এছাড়া প্রতি আসামিকে কারাগারের পক্ষ থেকে দুই সেট পোশাক দেয়া হয়েছে। এ পোশাকই তারা পরিধান করবেন।

২০১৯ সালের ২৬ জুন বরগুনা সরকারি কলেজের সামনে নয়ন বন্ড ও তার সহযোগী স’ন্ত্রা’সী’রা প্রকাশ্যে রা’ম’দা দিয়ে কু’পি’য়ে রিফাত শরীফকে গুরুতর আ’হ’ত করে।

এরপর বীরদর্পে অ’স্ত্র উঁচিয়ে এলাকা ছাড়েন তারা। গু’রু’ত’র আ’হ’ত রিফাত বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ওইদিনই মা”রা যান। এ ঘটনায় পরদিন মামলা করেন নি”হ”ত রিফাতের বাবা আব্দুল হালিম দুলাল শরীফ।

বুধবার (৩০ সেপ্টেম্বর) আলোচিত এ মামলায় নি”হ”ত রিফাত শরীফের স্ত্রী আয়েশা সিদ্দিকা মিন্নিসহ ছয় আসামির মৃ”ত্যু”দ”ণ্ড ও চারজনকে খালাসের রায় দেয় আদালত। এছাড়া সাজাপ্রাপ্ত প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।

মৃ”ত্যু”দ”ণ্ড”প্রা”প্ত”রা হলেন- রিফাত ফরাজী, আল কাইয়ুম ওরফে রাব্বি আকন, মোহাইমিনুল ইসলাম সিফাত, রেজোয়ান আলী খান হৃদয় ওরফে টিকটক হৃদয়, মো. হাসানও আয়েশা সিদ্দিকা মিন্নি। খালাসপ্রাপ্তরা হলেন- মো. মুসা, রাফিউল ইসলাম রাব্বি, মো. সাগর, কামরুল হাসান সায়মুন।