
তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইপ এরদোয়ান জেরুজালেমকে “আমাদের শহর” বলে অভিহিত করেছেন। বৃহস্পতিবার (১ অক্টোবর) তুর্কি আইন প্রণেতাদের উদ্দেশ্যে দেয়া ভাষণে এ কথা বলেন।



এ সময় এরদোয়ান বলেন, “এই শহর থেকে আমাদের প্রথম বি’শ্ব’যু’দ্ধে’র সময় অশ্রুসিক্ত হয়ে চলে যেতে হয়েছিল।
তবে অটোমান সাম্রাজ্যের প্রতিরোধ এখনো খুঁজে পাওয়া সম্ভব। সুতরাং জেরুজালেম আমাদের শহর, শুধুমাত্রই আমাদের। এই শহরেই আমাদের প্রথম কিবলা। আল-আকসা আমাদের বিশ্বাসের মসজিদ।



এরদোগান এ সময় ফিলিস্তিনিদের প্রতি আবারও সমর্থন জানিয়ে বলেন, “প্রতি ক্ষেত্রে নিপীড়িত ফিলিস্তিনি জনগণের অধিকারে মত প্রকাশের জন্য আমরা আমাদের দেশ ও জাতির পক্ষে সম্মানের বিষয় হিসাবে বিবেচনা করি।”
এদিকে সিরিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা বলেছেন, আরব বিশ্বের বিশেষ করে ফিলিস্তিনি জনগণের স্বার্থ ক্ষুণ্ন হয়- ইহুদিবাদী ইসরাইলের সঙ্গে কখনো এমন কোনো চুক্তি তার সরকার করবে না।



নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সিরিয়ার এ কর্মকর্তা বলেন, ইসরাইল ও ফিলিস্তিনের মধ্যকার কয়েক দশকের দ্বন্দ্বের বিষয়ে সিরিয়া একটি সামঞ্জস্যপূর্ণ নীতি অনুসরণ করে আসছে। এখন কিছু আরব দেশ ইহুদিবাদী ইসরাইলের সঙ্গে চুক্তি করে ফিলিস্তিনিদের অধিকার এবং তাদেরকে বাস্তুচ্যুত করার যে প্রচেষ্টা চালাচ্ছে তার নিন্দা জানায় সিরিয়া।
তিনি বলেন, সিরিয়া নিজেই তার অধিকার ফিরে পাওয়ার জন্য রুখে দাঁড়িয়েছে এবং ফিলিস্তিনিদের ব্যাপারে যেকোনো ধরনের ব্যক্তিগত এবং আপসকামী চুক্তির কঠোর বিরোধিতা করে। সিরিয়া সব সময় ইসরাইলি শত্রুদের সঙ্গে যেকোনো চুক্তি সইয়ের বিরোধিতা করে এসেছে যা আরব স্বার্থ এবং ফিলিস্তিনিদের অধিকার ক্ষতিগ্রস্ত করে।



সিরিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ওই কর্মকর্তা আরো বলেন, পূর্ব অভিজ্ঞতা থেকে দেখা গেছে যে, ইসরাইলের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার চুক্তির ফলে শুধুমাত্র তাদের বলদর্পিতা এবং একগুঁয়েমি বেড়েছে, আর এতে আরব দেশগুলো দ্বিধা বিভক্ত হয়েছে। সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে চলমান লড়াইয়ের ফলে সিরিয়া ইসরাইলের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার ব্যাপারে আরো শক্ত অবস্থান গ্রহণ করেছে।
গতমাসে সংযুক্ত আরব আমিরাত এবং বাহরাইন তৃতীয় দেশ হিসেবে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার চুক্তি করেছে। এর আগে মিশর সর্বপ্রথম ও জর্দান দ্বিতীয় আরব রাষ্ট্র হিসেবে ইসরাইলের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার চুক্তি সই করে।