
কোরআন হিফজ করার ঐতিহ্য- কোরআন শিক্ষায় আফ্রিকান দেশ নাইজেরিয়া অনন্য এক গৌরব অর্জন করেছে। সম্প্রতি দেশটির একজন মুসলিম নেতা দাবি করেছেন, নাইজেরিয়ায় গড়ে প্রতি ঘরে একজন করে হাফেজ রয়েছে।



আফ্রিকা মহাদেশের সবচেয়ে জনবহুল দেশ নাইজেরিয়ার কোরআন হিফজ করার ঐতিহ্য রয়েছে। প্রত্যেক পরিবার চেষ্টা করে তাদের ঘরে যেন অন্তত একজন কোরআনের হাফেজ হন। কোনো কোনো পরিবারের একাধিক সদস্যও হাফেজ হন।
তাই বলা যায়, নাইজেরিয়ার প্রায় সব মুসলিম পরিবারে একজন হাফেজে কোরআন রয়েছে। আর কেউ কোরআন পড়তে জানে না এমন মুসলিম পরিবার নাইজেরিয়ায় নেই বললে চলে।



ইসলামিক মুভমেন্ট অব নাইজেরিয়ার একজন মুখপাত্র মোস্তফা গারবা বলেন, ‘নাইজেরিয়ার ইসলামী শিক্ষা কার্যক্রমের প্রায় সব স্তরে কোরআন শিক্ষাকে গুরুত্ব দেওয়া হয়। বিশেষত কোরআন হিফজ করাকে গুরুত্বপূর্ণ মনে করা হয়।
মা-বাবা ও অভিভাবকরা শৈশব থেকেই চেষ্টা করেন যেন শিশুরা কোরআনের প্রতি উৎসাহী হয় এবং তারা হিফজ সম্পন্ন করতে পারে।’



তিনি আরো বলেন, ‘শিশুদের কোরআনের প্রতি উৎসাহিত করতে অভিভাবকরা তাদের কিরাত মাহফিল ও কোরআনের মজলিসে নিয়ে যান।
কন্যাশিশুদের ঘরোয়া পরিবেশে কোরআন শেখানো হয়। শিক্ষাজীবনের শুরু থেকেই তারা অল্প অল্প করে হিফজ করতে থাকে।’
মোস্তফা গারবার মতে, দ্বিনি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সহজলভ্যতা কোরআনের শিক্ষাকে উৎসাহিত করেছে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোও শিশুদের কোরআন হিফজ করতে উৎসাহিত করে। ফলে তাদের মধ্যে প্রতিযোগিতা তৈরি হয় এবং অল্প সময়ের মধ্যেই হিফজ শেষ করতে পারে।



এ ছাড়া স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতাগুলোও শিশুদের মনে আগ্রহ তৈরি করে। নাইজেরিয়ায় শিশু থেকে যুবক বয়সীদের জন্য অসংখ্য কোরআন হিফজের প্রতিযোগিতা হয়ে থাকে।
নিজের অভিজ্ঞতা তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘আমি সাত বছর বয়সে কোরআনে কারিম হাতে নিয়েছি এবং সাধারণ পড়াশোনার পাশাপাশি মাত্র ১২ বছর বয়সে হিফজ সম্পন্ন করার সৌভাগ্য অর্জন করি।’
কোরআনের উচ্চতর জ্ঞানচর্চায় নাইজেরিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর বিশেষ ভূমিকা রয়েছে—দাবি মোস্তফা গারবার।