মুসলমানদের আচরণে মুগ্ধ হয়ে বৌদ্ধ পরিবারের ৪ জনের ইসলাম গ্রহণ !

মুসলমানদের আচরণে মুগ্ধ হয়ে ৪ বৌদ্ধ ইসলাম গ্রহণ করেছে। সিরাজগঞ্জ জেলার শাহজাদপুর উপজেলার বাঘাবাড়ী দক্ষিণ পাড় এলাকার এক বৌদ্ধ পরিবারের দুইজন নারী ও দুইজন পুরুষসহ মোট চারজন ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেছেন।

গতকাল সোমবার (৫ সেপ্টেম্বর) রাতে বৌদ্ধ পরিবারের এ ৪ জন ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করে বলে জানা গেছে।

জানা যায়, ইসলাম গ্রহণের বিষয়ে তারা ইচ্ছা প্রকাশ করলে স্থানীয় মসজিদের ইমাম তাদের কালেমা পাঠ করান। এর আগে নোটারী পাবলিক মোকাম সিরাজগঞ্জের মাধ্যমে তারা হলফনামায় স্বাক্ষর করেন।

নেপালী বংশদ্ভূত এই বৌদ্ধ পরিবারের ইসলাম ধর্ম গ্রহণকারীগণ হচ্ছেন, মোঃ নজরুল ইসলাম ( নন্দ বাহাদুর) মোছা. খাদিজা খাতুন ( সুমিতা রানী) মোছা. নুরজাহান ( পিংকি রাণী) আবুল কালাম আজাদ ( কালু বাহাদুর)।

এ ব্যাপারে নুরজাহান খাতুন সাংবাদিকদের জানান, ইসলাম শান্তি ও সম্প্রীতির ধর্ম। এই ধর্মের মাধ্যমেই পরকালীন জীবনে মুক্তি সম্ভব। আমরা মুসলমানদের সাথে মিশে তাদের আচার ব্যবহারে মুগ্ধ হয়ে এ ধর্মের প্রতি অনুপ্রাণিত হয়েছি।

খাদিজা খাতুন ( সুমিতা রাণী) জানান, আমাদের পূর্বপুরুষ নেপালে বাস করছেন। আমার স্বামীর বাড়ি নেপালের কাঠমুন্ডু। অনেকদিন ধরেই আমরা ইসলামের প্রতি আসক্ত। ফলে আলাপ আলোচনা করে স্বপরিবারে ইসলাম কবুল করে ভাল লাগছে।

মসজিদুল হারামে ৬ হাজার ওমরাহ পালনকারীর সেবায় ১ হাজার খাদেম

সৌদি আরবের হজ ও ওমরাহ উপমন্ত্রী ডা. আব্দুল ফাত্তাহ বিন সুলায়মান মাশাত বলেছেন, পূণরায় ওমরাহ চালুর সিদ্ধান্তে সৌদি আরব ও সমস্ত বিশ্বের মুসলমানরা অনেক খুশি।

তিনি আরো বলেন, হজ ও ওমরাহ পরিচালনার সাথে সম্পৃক্ত সকল কর্তৃপক্ষের সমন্বয়ে এই পরিকল্পনাটি তৈরি করা হয়েছে, এবং হজ ও ওমরাহ সম্পর্কিত সমস্ত কর্তৃপক্ষ পরিকল্পনাটি বাস্তবায়নে সহযোগিতা ও সমন্বয় করছে।

তিনি বলেন, এটমারনা এপস্ এর মাধ্যমে ওমরাহ পালনকারীদের নিবন্ধনের পাশাপাশি পার্কিং এলাকা থেকে হারামের গেটের কাছে পৌঁছে দিতে বাসের বুকিং দেওয়ার সুবিধা রয়েছে। খুব শীঘ্রই একই এপস্ এ হোটেল বুকিং এর ব্যবস্হা করা হবে।

সৌদি আরবের প্রতিষ্ঠাতা বাদশাহ আব্দুল আজিজ থেকে শুরু করে হজ ও ওমরাহ যাত্রীদের যে সেবা দিয়ে আসছে তা বরাবরই অগ্রাধিকার ভিত্তিতে করা হবে। উপমন্ত্রী বলেন, হজ ও ওমরাহ মন্ত্রনালয় ওমরাহ যাত্রীদের একটি সুন্দর এবং স্মরণীয় ভ্রমণ নিশ্চিত করতে সকল পরিসেবার উন্নতি করে নিয়মিত পর্যবেক্ষণ করছে।

মক্কার স্বাস্থ্য বিষয়ক মহাপরিচালক ডা ওয়াইল হামজা মোতাইর বলেছেন, সমন্বয় কমিটিগুলির পরিকল্পনার সাথে সামঞ্জস্য রেখে কেন্দ্রীয়ভাবে ওমরাহ যাত্রীদের গ্রহণের জন্য সম্পূর্ণ প্রস্তুত স্বাস্থ্য বিভাগ।

ডা. মুতাইর বলেছেন, যাত্রীদের মধ্যে সামাজিক দূরত্ব পরিলক্ষিত হচ্ছে এবং গ্র্যান্ড মসজিদের আশেপাশের কেন্দ্রীয় অঞ্চলের নিকটবর্তী সমস্ত হাসপাতাল কর্তৃক যে কোন জরুরি অবস্থা মোকাবেলায় প্রস্তুত রাখা হয়েছে স্বাস্থ্যসেবা প্রদানের জন্য। নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়ার পদক্ষেপের অংশ হিসেবে প্রতিদিন সর্বোচ্চ ৬ হাজার মুসল্লিদের ওমরাহ পালনের সুযোগ দিচ্ছে সৌদি আরব।

পুণরায় ওমরাহ চালু করার প্রথম পর্যায়ে কেবল মাত্র সৌদি নাগরিক ও সে দেশে বসবাসকারীরা এ সুযোগ পাবেন। প্রত্যেক দর্শনার্থীকে তিন ঘণ্টার মধ্যে ওমরাহর যাবতীয় আনুষ্ঠানিকতা শেষ করতে হবে। ওমরাহ চলাকালে পবিত্র নগরী মক্কার কাবা শরিফের পুরো আঙিনা প্রতিদিন কয়েকবার জীবাণুমুক্ত করা হবে।

কাবা চত্বরে যাওয়ার আগে প্রত্যেক ওমরাহ পালনকারীকে নির্দিষ্ট সময় ও তারিখে তা পালনের জন্য সামাজিক দুরত্ব ও ভিড় এড়িয়ে অনলাইনে আবেদন করতে হবে।এটমারনা এ নিবন্ধনের পূর্বে ‘তাওয়াক্কালনা’ এপস্ এ নিবন্ধন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে হবে।

তিনটি ধাপে ওমরাহর কার্যক্রম চালু হবে। প্রথম ধাপে শুধু সৌদি আরবের স্থানীয়রা ৪ঠা অক্টোবর থেকে এতে অংশ নিতে পারছেন। প্রথম অবস্থায় ওমরাহ মোট ধারণ ক্ষমতার প্রায় ৩০ শতাংশ অর্থাৎ একদিনে ছয় হাজার জনকে পবিত্র মসজিদুল হারামে ঢোকার সুযোগ দেয়া হবে।

দ্বিতীয় ধাপে ১৮ই অক্টোবর থেকে একদিনে সর্বোচ্চ ১৫ হাজার জন ওমরাহ করতে পারবে। এই সময়ে একসঙ্গে ৪০ হাজার মুসল্লি পবিত্র মসজিদুল হারামে ঢুকতে পারবেন। যা সম্মিলিতভাবে মোট ধারণক্ষমতার ৭৫ শতাংশ।

তৃতীয় ধাপে ১লা নভেম্বর থেকে সৌদি আরবে অবস্থান করা এবং বাইরে থেকেও হজ ও ইবাদতের উদ্দেশে সব মুসলিমকে মসজিদুল হারামে ঢুকতে দেয়া হবে। সে সময় প্রতিদিন ২০ হাজার জন ওমরাহ হাজি এবং ৬০ হাজার ইবাদতকারীকে মসজিদুল হারামে ঢুকতে দেয়া হবে, যা মোট ধারণক্ষমতার সমান।