
টাঙ্গাইলের সখীপুরে দুই শিশু শিক্ষার্থীকে শা’রী’রিক নি’র্যা’ত’ন ও মাথার চুল কে’টে দেয়ার অ’ভিযো’গ উঠেছে এক মাদরাসা শিক্ষকের বিরুদ্ধে।
এ ঘটনায় ওই শিক্ষকের বিচার চেয়ে সখীপুর থানার ওসি এবং ইউএনওর কাছে লিখিত অ’ভিযো’গ করেছেন নি’র্যা’তি’ত শিশুর বাবা।



রোববার বিকেলে ওই উপজেলার বহেড়াতৈল ইউপির বেতুয়া পশ্চিম পাড়া বিশ্ব নবী (সা.) হাফেজিয়া মাদরাসায় এ ঘটনা ঘটে। অ’ভি’যুক্ত মো. তৈয়ব আলী আকন্দ ওই মাদরাসার প্রধান শিক্ষক। তার বাড়ি শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলায়।
এ ঘটনায় অ’ভি’যুক্ত প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে অ’ভি’যোগ করেছেন একই মাদরাসার সহকারী শিক্ষক আরিফুল ইসলাম।



নি’র্যা’তিত শিশুর বাবা বাবুল হোসেন জানান, তার ১০ বছর বয়সী ছেলে বিজয় হোসেন প্রায় দুই বছর ধরে ওই মাদরাসায় পড়াশোনা করছে। রোববার তার ছেলে মাদরাসায় গেলে মাথা ন্যা’ড়া না করার অ’প’রাধে মাদরাসার প্রধান শিক্ষক ব্লে’ড দিয়ে চুল কে’টে বি’কৃ’ত করে দেন।
ওই সময় বিজয়ের বন্ধু জাকারিয়ার মাথার চুলও একই কায়দায় বি’কৃ’ত করেন তিনি। এছাড়া তাদের শারী’রি’ক নি’র্যা’ত’ন’ও করেন প্রধান শিক্ষক।



শিক্ষার্থী বিজয় হোসেন বলে, মাথা ন্যা’ড়া না করার অ’পরা’ধে বড় হুজুর একটি ব্লে’ড হাতে নিয়ে আমার ও জাকারিয়ার মাথার মাঝ বরাবর রেখা টেনে ন্যা’ড়া করে দেন। অ’ভি’যু’ক্ত প্রধান শিক্ষক মুফতি মো. তৈয়ব আলী আকন্দ বলেন, প্রতি মাসেই শিক্ষার্থীদের চুল ন্যা’ড়া করে দেয়া হয়। ওইদিন দুইজনের ন্যা’ড়া করার প্রস্তুতি’কালে নামাজের সময় হওয়ায় তিনি মসজিদে চলে যান।
নামাজের পর ন্যা’ড়া করার জন্য ওই দুই ছাত্রকে আর খুঁজে পাওয়া যায়নি। ওরা বি’কৃ’ত মাথা নিয়েই বাড়িতে চলে যায়। পরে ওই গ্রামের কিছু লোকজন ওই দুই ছাত্রের মাথার বি’কৃ’ত ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দিয়ে আমার স’ম্মান’হা’নি করেন। এক পর্যায়ে গ্রামের কিছু মানুষ আমার ওপর হা’ম’লা’ও চালায়।



সখীপুর থানার পরিদর্শক (ত’দন্ত) এএইচএম লুৎফুল কবির বলেন, নি’র্যা’তি’ত শিশুর বাবা সখীপুর থানায় এসে একটি অ’ভিযো’গ দিয়েছেন। অন্যদিকে ওই মাদরাসার সহকারী শিক্ষক আরিফুল ইসলাম আরেকটি অ’ভিযো’গ দিয়েছেন। দুটি অ’ভিযো’গই জিডি হিসেবে নথিভুক্ত করা হয়েছে। ত’দন্ত করে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।
সখীপুরের ইউএনও আসমাউল হুসনা লিজা বলেন, অভিভাবক নি’র্যা’তি’ত শিশুকে নিয়ে আমার কাছে এসেছিলেন। পরে বিষয়টি সখীপুর থানার ওসিকে ত’দন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
কপাল খুলল গতবার ফেল করা সাড়ে ৩ লাখ শিক্ষার্থীর
এ বছর উচ্চ মাধ্যমিকের পরীক্ষা না নেয়ার সিদ্ধান্তে গত বছর যারা এইচএসসি ও সমামানের পরীক্ষায় ফেল করেছিলেন তাদের কপাল খুলে গেছে। কারণ এই পরীক্ষায় যারা ফেল করেছেন তাদেরও জেএসসি ও এসএসসি পরীক্ষার ফলাফলের ভিত্তিতে মূল্যায়ন করা হবে।



করোনা মহা’মা’রীর মধ্যে এবার উচ্চ মাধ্যমিকের পরীক্ষা না নিয়ে জেএসসি ও এসএসসির ফলের গড় করে শিক্ষার্থীদের মূল্যায়ন করার কথা জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি।
বুধবার অনলাইনে এক ব্রিফিংয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘গতবার যারা ফেল করেছে, তাদেরও জেএসসি ও এসএসসির ফলের ভিত্তিতে মূল্যায়ন করা হবে। গতবার এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় ১৩ লাখ ৩৬ হাজার ৬২৯ জন শিক্ষার্থী অংশ নেয়। তাদের মধ্যে পাস করে নয় লাখ ৮৮ হাজার ১৭২ জন।



সেই হিসেবে গত বছর উচ্চ মাধ্যমিকে ফেল করেছিলেন তিন লাখ ৪৮ হাজার ৪৫৭ জন শিক্ষার্থী, যারা এবার আর কোনো পরীক্ষায় অংশ না দিলেও উচ্চ মাধ্যমিকের সনদ পাবেন। এইচএসসিতে দুই বিষয়ে (সর্বোচ্চ চার পত্র) ফেল করলে পরের বছর শুধু ওইসব বিষয়ে পরীক্ষা দেয়া যায়।
উচ্চ মাধ্যমিকে একজন শিক্ষার্থীকে সাতটি বিষয়ে ১৩টি পত্রে পরীক্ষায় বসতে হয়। জেএসসি ও এসএসসি পরীক্ষার ফলাফলের গড় করে আগামী ডিসেম্বরের মধ্যেই এইচএসসি ও সমমানের ফল প্রকাশ করা হবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী।



তিনি বলেন, ডিসেম্বরের মধ্যে তারা এইচএসসির চূড়ান্ত মূল্যায়ন ঘোষণা করতে চান, যাতে জানুয়ারি থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি প্রক্রিয়া শুরু হতে পারে। করোনার কারণে গত ১৭ মার্চ থেকে আগামী ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। গত ১ এপ্রিলে এইচএসসি পরীক্ষা শুরুর কথা ছিল। করোনার কারণে তা স্থগিত করা হয়।
এইচএসসি পরীক্ষা কবে অনুষ্ঠিত হবে, সে বিষয়ে এর আগে কয়েকদফা আলোচনা হলেও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়া হয়নি। আগামী নভেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহে এই পরীক্ষা নেয়া যায় কিনা তা নিয়েও নীতিনির্ধারকদের মধ্যে আলোচনা চলছিল। তবে শেষ পর্যন্ত পরীক্ষা না নেয়ার সিদ্ধান্ত নিল শিক্ষা মন্ত্রণালয়।