
নাটোরের গুরুদাসপুরে বিয়ের দাবিতে বিষ নিয়ে প্রেমিকের বাড়িতে দুদিন ধরে অনশন করা তরুণীর অবশেষে বিয়ে হয়েছে।
মঙ্গলবার রাত ১টার দিকে তাদের বিয়ে হয়। বিয়ের পর ১৯ বছর বয়সী স্ত্রী পপি খাতুনকে ফলের জুস খাইয়ে অনশন ভাঙান স্বামী ইকবাল।



স্থানীয়রা জানায়, কলেজে পড়া অবস্থায় ইকবালের সঙ্গে পপির প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। ইকবালের মা তাদের দুজনের বিয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন। একপর্যায়ে বিয়ে নিয়ে টালবাহানা শুরু করেন ইকবাল।
বিষয়টি নিয়ে গ্রামে একাধিকবার সালিশও হয়। তবু ইকবাল বিয়ে করতে রাজি হননি। শেষে উপায় না পেয়ে রোববার বিকেল ৩টা থেকে ইকবালের বাড়িতে অনশন শুরু করেন পপি।



মহারাজপুর দাখিল মাদরাসার সুপার মো. আব্দুল জব্বার বলেন, দুই পক্ষ এলাকার মেম্বার ও গ্রামপ্রধানদের নিয়ে মহারাজপুর দাখিল মাদরাসায় বসে।
উভয় পক্ষের কথা শুনে ছেলে-মেয়েদের বিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। পরে কাজি ডেকে তাদের বিয়ে দিয়ে ছেলের বাড়িতে পাঠানো হয়েছে।



নাজিরপুর ইউপির ৬ নম্বর ওয়ার্ড সদস্য আরিফুল ইসলাম বলেন, দুই পরিবারের সঙ্গে আলোচনা করে বিষয়টি মীমাংসা করেছি।
এলাকার প্রধান, ইউপি চেয়ারম্যান, বাদী-বিবাদীকে নিয়ে বসে ছেলে-মেয়ের বিয়ে দেওয়া হয়েছে। নবদম্পতি সুখে-শান্তিতে থাকবেন বলে আশা করি।



নাজিরপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. আইয়ুব আলী বলেন, সমস্যা জানার পর দুই পরিবার নিয়ে স্থানীয়ভাবে সমাধানের জন্য ইউপি সদস্য আরিফুল ইসলামকে দায়িত্ব দেওয়া হয়।
পরে তিনি এলাকাবাসীদের নিয়ে আলোচনা করে তাদের বিয়ে দিয়েছেন। বর্তমানে শ্বশুরবাড়িতে রয়েছেন পপি।