এই লক্ষণগুলি দেখলে বুঝবেন আপনার স্ত্রী তৃতীয় ব্যক্তির প্রতি আশক্ত

এই লক্ষণগুলি দেখলে বুঝবেন আপনার স্ত্রী তৃতীয় ব্যক্তির প্রতি আশক্তঅনুপ আর হিয়া দুজনেই প্রায় কয়েকবছর ধরে বিবাহিত জীবন,

বেশ ভালোই চলছিল কিন্তু গত কয়েকমাস ধরেই দাম্পত্য কলহ বেড়েই চলেছে, হাসি আবেগ সব যেন উবে গেছে..

অনুপ হিয়ার মতোই এ ধরনের ঘটনার সাথে দাম্পত্য জীবনে অনেকের মিল খাই, অনেকেই হয়তো এই ঘটনার মধ্যে দিয়ে গেছেন। কিন্তু হয়তো কারন খুঁজে পাচ্ছেন না।

দুজনে একসাথে তলায় থেকেও যেন আলাদা আলাদা জীবনযাপন করা, স্ত্রী দরকার ছাড়া কথা বলে না সারাক্ষণই আপনাকে এড়িয়ে চলার প্রচেষ্টা। ঝগড়া মেটানোর কোনো ইচ্ছাই নেই।

এই ধরনের ঘটনা কিন্তু হতেই পারে সম্পর্ক বিচ্ছেদের ইঙ্গিত বা তৃতীয় কোনো ব‍্যক্তি আগমন।

দুজনের সম্পর্কে হঠাৎ আরেকজনের উপস্থিতি কিভাবে টের পাবেন তার কিছু উপায় রয়েছে এই কয়েককটি লক্ষণ দেখলেই বুঝতে পারবেন স্ত্রী তৃতীয় ব্যক্তির প্রতি আসক্ত কিনা। চলুন জেনে নেয়া যাক।

সারাক্ষণ অশান্তি চলছে দুজনে কিন্তু ঝগড়ার শুরুটা প্রতিবার স্ত্রী করেন? কারণ ছাড়া ঝগড়া করার সুযোগ খুঁজে স্ত্রী! এমন হলে সতর্ক হোন কারণ অনেক সময় বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কের জেরে এমনটা হতে পারে।

স্ত্রী যদি সর্বদা অন্য লোকের সাথে আপনার তুলনা করেন, সারাক্ষণ বোঝাতে চেষ্টা করে সে কতটা খারাপ আছে তাহলে এটা বিবাহ-বহির্ভূত সম্পর্কে জড়িয়ে যাওয়ার ইঙ্গিত হতে পারে।

যদিও প্রথমে সন্দেহ না করে আগে দেখুন আপনার দিকে সত্যিই কোনো খামতি আছে কিনা।

যদি দেখেন সর্বক্ষেত্রে স্ত্রীর অতিরিক্ত চাহিদা বেড়ে গিয়েছে এমন জিনিস দাবি করছে যা আপনার সাধ্যের বাইরে এমনকি চাহিদা পূরণ না করতে পারলে বিয়ে ভাঙ্গার কথা বলছে তাহলে এই আচরন মোটেও স্বাভাবিক নয়।

যদি দেখেন কোনো কিছুর সাথে অ্যাডজাস্ট করতে চাইছেন না আপনার স্ত্রী, আপনাকে এড়িয়ে চলছে, সমস্যা মেটানোর চেষ্টা করছে না এমন আচরণ দেখলে বুঝতে হবে কোন সমস্যা রয়েছে।

কোনো সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে আসতে চাইলে তবে এমন ধরনের আচরণ করেন মানুষ। সম্পর্কে সমস্যা আসতে পারে তবে তা ঠিক করতে না চেয়ে বেরিয়ে যেতে চাইলে বুঝতে হবে সে অন‍্য কোনো কারো প্রতি আগ্রহী।

মেয়েরা পরকীয়া কেন করে?

পরকীয়ার প্রথম কারন হলো আপনি হয়তো আপনার স্বামী অথবা স্ত্রীকে সময় দিতে পারছেন না। একে অপরকে পর্যাপ্ত সময় না…


দেওয়ার কারনে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে একটা মানসিক দূরত্ব সৃষ্টি হয়। স্বামী অথবা স্ত্রী এমন কাউকে খুজতে থাকে যার সাথে তার একাকীত্ব ঘুচে যায়। এমন কাউকে খুজতে থাকা থেকেই পরকীয়ার সূত্রপাত।

ছেলে ও মেয়েরা কিন্তু একই কারণে পরকীয়ায় জড়ায় না। মেয়েরা মূলত পুরুষের বুদ্ধিবৃত্তিক, আবেগীয় ও অর্থ সম্পদের প্রতি আকৃষ্ট হয়ে এবং শারীরিক চাহিদা থেকে পরকীয়ায় জড়ায়। অন্যদিকে পুরুষরা সাধারণত বহুগামী মানসিকতা থেকে পরকীয়ায় জড়িয়ে থাকে।

আপনার বন্ধুবান্ধব পুরুষরা কেউ যদি পরকীয়া করে থাকে দেখবেন তাদের পরকীয়ার গল্পে যৌন কর্মকাণ্ডের কথাই বেশি থাকে। অন্যদিকে নারীরা তাদের প্রেমিকের বুদ্ধিবৃত্তিক ও আবেগীয় কর্মকাণ্ড বলতে বেশি পছন্দ করে।

প্রত্যেক স্বামী এবং স্ত্রীর শারীরিক ও মানসিক কিছু চাহিদা আছে। যখন এসব চাহিদা পূরণ হয় না, স্বপ্নভঙ্গের ব্যথায় কষ্ট পায় মন-মূলত তখনই পরকীয়ার সূত্রপাত ঘটে।

একে অপরের প্রতি উদাসীনতা ধীরে ধীরে একজন স্বামী থেকে একজন স্ত্রীকে আলাদা করে ফেলে, বা একজন স্ত্রী থেকে স্বামীকে আলাদা করে ফেলে। বেড়ে যায় মানসিক ব্যবধান। যার কারণে শুরু হয় মনোমালিন্য। এবং অবশেষে পরকীয়া।

স্বামী অথবা স্ত্রী যদি চাকুরীজীবি হয়ে থাকে তাহলে তারা তাদের অফিসের বিপরীত লিঙ্গের কারও প্রতি আকৃষ্ট হয়ে পড়ে। বাংলাদেশে অধিকাংশ নারী বিবাহের পর বাকি জীবনটা গৃহবধূ হিসাবে পার করে দেয়।

এসব গৃহবধূদের অনেকেই বিবাহ পরবর্তী একাকীত্ব ঘুচাতে তাদের কোন আত্নীয় সম্পর্কের অথবা প্রতিবেশী কারও সাথে পরকীয়ায় লিপ্ত হয়।

অফিস সহকর্মী কিংবা বন্ধুবান্ধবদের পরকীয়ার গল্প শুনতে শুনতেই অনেকে নিজের জীবনেও সেই উত্তেজনা খুঁজতে গিয়ে পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়েন।

আমেরিকার নিউ ওমেন ম্যাগাজিনের জরিপে জানা যায় চাকরিজীবী বিবাহিত নারীরা তাদের কর্মস্থলেই ‘লাভার’-দের সঙ্গে দেখা সাক্ষাত করে থাকেন। আমেরিকান সমাজে অবিশ্বস্ততার হার দিনে দিনে বাড়ছে। শিকাগো বিশ্ববিদ্যালয়ের এক জরিপে জানা যায় যে, ২৫ শতাংশ পুরুষ পরকীয়া করছে এবং ১৭ শতাংশ নারী তাদের স্বামীদের প্রতি বিশ্বস্ত নয়।