
কন্যাশিশু জন্ম নেওয়ায় তাকে পায়ের তলায় পিষে হ’ত্যা’র দায়ে সিরাজগঞ্জের বেলকুচিতে বাবা বদিউজ্জামানকে (২৮) মৃত্যুদণ্ডাদেশ দিয়েছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার (২৮ জুলাই) দুপুরে সিরাজগঞ্জ অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক বেগম সালমা খাতুন এ দণ্ডাদেশ দেন।



জানা গেছে, দণ্ডপ্রাপ্ত বদিউজ্জামান বেলকুচি উপজেলার মুকন্দগাঁতী গ্রামের আব্দুল জলিলের ছেলে।
এছাড়াও পেনাল কোডের ২০১ ধারায় ৫০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে সাত বছর ও আরও ১০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ছয় মাসের কারাদণ্ডাদেশ দেওয়া হয়েছে তাকে।



রায় ঘোষণার সময় আসামি আদালতে হাজির ছিলেন। ওই আদালতের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর এডভোকেট ওয়াজ করণী লকেট এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
মামলা সূত্রে জানা যায়, বদিউজ্জামান ও সুন্দরী খাতুনের সংসারে প্রথমে একটি কন্যা সন্তান জন্ম নেয়। দ্বিতীয় দফায় তার স্ত্রী আরও একটি কন্যা সন্তান জন্ম দেন। যার নাম রাখা হয় সুমাইয়া। সুমাইয়ার জন্মের পর থেকেই অসন্তুষ্ট ছিল বদিউজ্জামান।



অতিরিক্ত পিপি আরও জানান, বদিউজ্জামান তার স্ত্রীকে মাঝেমধ্যেই ওই কন্যাকে মেরে ফেলার হুমকি দিতেন। একপর্যায়ে ২০১৯ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর স্ত্রীর অগোচরে ৯ মাসের ঘুমন্ত শিশুকে নিয়ে পায়ের তলায় পিষে হ’ত্যা করেন বদিউজ্জামান।
এরপর নিহত শিশুটিকে তিনি বাড়ির পাশের ডোবায় ফেলে দিয়ে পালিয়ে যান বলেও অতিরিক্ত পিপি জানান।



এ ঘটনার পর শিশুটির মা সুন্দরী খাতুন বাদী হয়ে হ’ত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলার দীর্ঘদিন পরে আসামী বদিউজ্জামান গ্রেপ্তার হন।
মামলার দীর্ঘ শুনানি শেষে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় মঙ্গলবার বিচারক এ রায় দেন। রায় ঘোষণার পর আসামি বদিউজ্জামানকে জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে।