
কুষ্টিয়ার ছেলে পাভেলের (২৭) সঙ্গে ফাতেমা নামে সিঙ্গাপুরের এক তরুণীর সঙ্গে তার প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে।
তার প্রতি ভালোবাসা থেকে ফাতেমাও বাংলাদেশে চলে আসেন। পরবর্তীতে তাদের বিয়েও হয়। কিন্তু সেই বিয়ে টেকেনি এক মাসও।



পাভেলের বাড়ি কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার চাঁদপুর ইউনিয়নের জুঙ্গলী গ্রামে।
পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, ২০১৪ সালে কাজের জন্য সিঙ্গাপুরে যান তিনি। ২০১৬ সালে সেখানের আল জুনায়েদ শহরে কর্মসূত্রে ফাতেমার সঙ্গে তার পরিচয় হয়। পরিচয়ের তিন বছর পর এক পর্যায়ে তারা প্রেমের সম্পর্কে জড়ান।



তিনি বলেন, ২০১৯ সালে পাভেল দেশে ফিরে আসেন। ফাতেমাও পাভেলের সন্ধানে বাংলাদেশে ছুটে চলে আসেন। ২০২০ সালের ২০ জানুয়ারি পাভেল ও ফাতেমা বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন।
তখন বিদেশি বধূকে দেখতে এলাকার অনেকেই পাভেলের বাড়িতে ভিড় জমান।



পরের গল্পটা আর সুখকর না। বিয়ের ২৬ দিন পর ফাতেমা সিঙ্গাপুরে ফিরে যান। এরপর করোনাভাইরাস মহামারির কারণে দেশটিতে লকডাউন শুরু হলে ফতেমা আর বাংলাদেশে আসতে পারেনি।
এর কিছুদিন পরেই ফাতেমা পাভেলকে জানান, তার অন্যত্র বিয়ে হয়ে গেছে। তিনিও যেন নতুন করে সংসার শুরু করেন। এরপর বছরখানেকের মাথায় পাভেলও দ্বিতীয় বিয়ে করেন। বর্তমানে পাভেলের ঘরে একটি কন্যাসন্তান রয়েছে।



ফাতেমার বিষয়ে কোনো অভিযোগ আছে নাকি জানতে চাইলে পাভেলের বাবা লিয়াকত আলী বলেন, ফাতেমা অনেক ভালো মেয়ে। তার বিরুদ্ধে আমাদের কোনো অভিযোগ নেই। এ বিষয়ে পাভেলের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তার কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
স্থানীয় চাঁদপুর ইউনিয়নের জুঙ্গলী গ্রামের ৪ নম্বর ওয়ার্ড সদস্য লিটন উদ্দিন বলেন, যতদূর জানি বিয়ের পর ওই তরুণী সিঙ্গাপুর ফিরে গেছেন। তাদের বিষয়ে বিস্তারিত কিছু জানা নেই।