অপারেশনের সময় কান্না করায় থাপ্পড় মারলেন নার্স

বাবুগঞ্জে চিকিৎসা সেবা নিতে এসে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সিনিয়র ষ্টাফ নার্সের থাপ্পড়ে আহত হয়ে ওই স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হয়েছে লামিয়া (৯) নামের এক শিশু। ঘটনাটি ঘটেছে ৭ নভেম্বর দুপুরের।

লামিয়া উপজেলার কেদারপুর ইউনিয়নের পশ্চিম ভূতেরদিয়া গ্রামের মৃত মোসলেম আলী ঘরামীর নাতনি ও পশ্চিম ভূতেরদিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৫ম শ্রেণির ছাত্রী।

লামিয়ার মামী সাবেরা খাতুন বলেন, শিশুটির বাবার বাড়ি ঢাকা সাভার এলাকায়।

বিজ্ঞাপনলামিয়া ৯মাস বয়সের সময় তার মা মারা গেলে বাবা খায়রুল ইসলাম দ্বিতীয় বিয়ে করে ইতালি চলে যান। তারপর থেকে নানী আলমতাজ বেগম লালন পালন করেন।

৭অক্টোবর শুক্রবার দুপুরে সে বাথরুম থেকে বের হওয়ার সময় হাত কেটে যায়। পরিবারের লোকজন বাবুগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। শুক্রবার ছুটির দিন হওয়াতে ওই চিকিৎসা কেন্দ্রে ডাক্তার ছিলনা।

সেখানে কর্তব্যরত সিনিয়র ষ্টাফ নার্স (ব্রাদার) মো. সুমন হাওলাদার চেতনা না’শ’ক কোন ব্যবস্থা ছাড়াই লামিয়ার অঙ্গুলে সেলাই করা শুরু করে।

এতে ব্যাথায় চিৎকার শুরু করলে সুমন লামিয়ার ডান গালে কষে থাপ্পড় দেন। এতে তার গাল র’ক্তা’ক্ত হয়ে ওঠে এবং সুমনের হাতের আঙ্গুলের ছাপ পড়ে যায়।  

এ ঘটনায় সুমনের বিরুদ্ধে গত ৮অক্টোবর থানায় একটি সাধারণ ডায়রি করেছেন তিনি।

এ ব্যাপারে সুমন বলেন, লামিয়াকে চেতনা না’শ’ক (অচেতন) ইনজেকশন দিতে তিনি বার বার ব্যর্থ হয়ে তাকে ডান কাঁধে আলতো ভাবে থাপ্পড় দিতে গিয়ে একটু জোরে তার গালে লেগেছে। এ জন্য তার পরিবারের কাছে বারবার ক্ষমা চেয়েছি।

উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. সুবাস সরকার বলেন, ঘটনা ও অভিযোগের সত্যতা যাচাইয়ের জন্য তিন সদস্যর কমিটি গঠন করা হবে। তদন্ত প্রতিবেদন হাতে পেলে প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।