
নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় রাশেদ নামে এক কাপড় ব্যবসায়ীকে মোটরসাইকেল থেকে নামিয়ে গ’ণ’পি’টু’নি দেওয়ার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। এ নিয়ে ফতুল্লায় সমালোচনার ঝড় উঠেছে।
ফতুল্লার দেওভোগ শেষ মাথা এলাকায় ১১দিন আগের এ ঘটনায় রোববার (১৩ নভেম্বর) রাতে ১২ জনের নাম উল্লেখ



করে আরো ৩ জনের বিরুদ্ধে ব্যবসায়ীর বাবা নিজাম উদ্দিন বাদী হয়ে ফতুল্লা মডেল থানায় মামলা দায়ের করেন। এ মামলায় এখনো কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ।
ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে দেখা যায়, একজন ব্যক্তিকে কয়েকজন মিলে কাঠের লাঠি দিয়ে এলোপাতাড়ি পেটাচ্ছেন। এ সময় ওই ব্যক্তি তাদের কাছ থেকে নিজেকে রক্ষা করতে উচ্চস্বরে চিৎকার করছেন।



আশপাশে অনেক লোকজন দাঁড়িয়ে মারধর দেখলেও কাউকে এগিয়ে আসতে দেখা যায়নি। নি’র্যা’ত’নে’র একপর্যায়ে ওই ব্যক্তি নি’থ’র হয়ে মাটিতে পড়ে থাকে। এ সময় সন্ত্রাসীরা চলে যায়।
এ ঘটনায় দায়ের করা মামলায় উল্লেখ করা হয়, ফতুল্লার পশ্চিম দেওভোগ এলাকার নিজাম উদ্দিনের ছেলে রাশেদ (২৬)।



৩ নভেম্বর বিকেলে ভোলাইল থেকে মোটরসাইকেলে কাশিপুর যাওয়ার পথে দেওভোগ শেষ মাথা এলাকায় পূর্ব বিরোধের জের ধরে স্থানীয় সন্ত্রাসী রাজু, প্রধান জুয়েল প্রধান ও তাদের গ্রুপের লোকজন পথরোধ করে রাশেদকে এলোপাতাড়ি গণপিটুনি দেয়।



এ সময় আশপাশ থেকে অনেকেই পিটুনির ভিডিও করেন। ওই ভিডিও ১০দিন পর ফেসবুকে একাধিক লোকজন তা আপলোড করেছে। এ নিয়ে ফতুল্লায় সমালোচনার ঝড় উঠেছে।
এ বিষয়ে ফতুল্লা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ রিজাউল হক বলেন, মামলা হয়েছে। আসামিদের গ্রেফতারে পুলিশের একটি টিম কাজ করছে।