
জঙ্গি ছিনতাইয়ের সময় মারধর ও পেপার স্প্রেতে আহত পুলিশ কনস্টেবল আজাদকে ঢাকার ন্যাশনাল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়।
এরপর উন্নত চিকিৎসার জন্য রাজারবাগ পুলিশ লাইন হাসপাতাল ভর্তি করা হয়েছে।



রোববার (২০ নভেম্বর) রাজধানীর মোহাম্মদপুর থানার সন্ত্রাস বিরোধী আইনের মামলায় কারাগারে আটক ১২ আসামিকে আদালতে হাজির করা।
এছাড়া জামিনে থাকা দুই আসামি আদালতে উপস্থিত হন। তাদের উপস্থিতি অভিযোগ গঠন শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। তবে পলাতক ছয় আসামি উপস্থিত ছিলেন না। শুনানি শেষে তাদের আদালত থেকে বের করা হয়।



এরপর সিএমএম আদালতের হাজতখানায় নেওয়ার পথে চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের গেটের সামনে পৌঁছালে দুটি মোটরসাইকেলে করে চার জঙ্গি পুলিশের চোখে স্প্রে করে দুই জঙ্গিকে ছিনিয়ে নিয়ে যায়।
এসময় তারা একটা মোটরসাইকেল ফেলে রেখে যায়। এরপর পুলিশ কনস্টেবল আজাদকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়।



দুই জঙ্গিকে ধরিয়ে দিলে ২০ লাখ টাকা পুরস্কার
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত দুই জঙ্গি মইনুল হাসান শামীম ওরফে সিফাত সামির ও মো. আবু ছিদ্দিক সোহেল ওরফে সাকিবকে ধরিয়ে দিতে পারলে ২০ লাখ টাকা পুস্কারের ঘোষণা দিয়েছে পুলিশ সদর দপ্তর।
রোববার (২০ নভেম্বর) পুলিশ সদর দপ্তরের এআইজি (মিডিয়া অ্যান্ড পিআর) মো. মনজুর রহমান জাগো নিউজকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।



তিনি বলেন, পলাতক দুই জঙ্গিকে ধরিয়ে দিতে পারলে ১০ লাখ করে ২০ লাখ টাকা পুরস্কারের ঘোষণা করা হয়েছে।
এদিকে আদালত প্রাঙ্গণ থেকে দুই জঙ্গি ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনায় কারও গাফিলতি থাকলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।



রোববার (২০ নভেম্বর) সচিবালয়ের নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।
তিনি বলেন, ছিনিয়ে নেওয়ার পর পরই তাদের ধরতে রেড অ্যালার্ট জারি করা হয়েছে। পুলিশ তাদের হন্যে হয়ে খুঁজছে। আশা করি শিগগির তারা ধরা পড়বে।
এ বিষয়ে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, তদন্তের পরে এ বিষয়ে বিস্তারিত বলা যাবে।



পুলিশের চোখে স্প্রে করে প্রকাশক ফয়সল আরেফিন দীপন এবং লেখক ও ব্লগার অভিজিৎ রায় হত্যা মামলার মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি দুই জঙ্গি আবু ছিদ্দিক সোহেল ও মঈনুল হাসান শামীমকে ছিনিয়ে নিয়েছে জঙ্গিরা।
রোববার দুপুরের দিকে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত প্রাঙ্গণে এ ঘটনা ঘটে।